10 টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা - ভেষজ উদ্ভিদের নাম ও উপকারিতা
10 টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? আমাদের বাড়ির আশেপাশে বনে জঙ্গলে অর্থাৎ যেসব জায়গায় গাছপালা ও লতাপাতা বেশি, সেই জায়গায় এই ঔষধি গাছ গুলো বেশি জন্মে থাকে। আজকে আপনি 10 টি ঔষধ গাছের নাম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এছাড়াও কোন গাছ কোন রোগের জন্য কার্যকরী সেই সর্ম্পকেও জানতে পারবেন। ঔষধি গাছের
নামের তালিকা pdf থেকে ঔষধি বিভিন্ন গাছের উপকারিতা জানতে পারবেন। তবে চলুন জেনে
নেওয়া যাক 10 টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
আরো পড়ুনঃ জোভিয়া গোল্ড এর উপকারিতা জেনে নিন
সূচিপত্রঃ 10 টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা
- 10 টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা
- ভেষজ উদ্ভিদের নাম ও উপকারিতা
- ঔষধি গাছের নামের তালিকা pdf
- বাংলাদেশের ঔষধি গাছের তালিকা
- দুটি ঔষধি গাছের নাম
- শেষ কথাঃ 10 টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা
10 টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা
    10 টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা জানলে ঘরে বসেই আপনি যেকোনো রোগ প্রতিরোধ করতে
    পারবেন। ভেষজ উদ্ভিদ বা ঔষধি গাছের অনেক গুণ রয়েছে। এই ঔষুধি গাছ গুলো আমাদের
    শরীরের নানা ধরণের রোগ নিরাময় করতে খুবই উপকারী। প্রাচীনকাল থেকে এবং বিভিন্ন
    গবেষণায় এই ঔষধি গাছ গুলোর উপকারিতা প্রমাণিত। নিচে ১০ টি ঔষধি গাছের নাম ও
    উপকারিতা গুলো জেনে নিন।
  
  
    লজ্জাবতী হচ্ছে একটি ঔষধি গাছ। অনেককেই লজ্জাবতী গাছকে লাজুক লতা বা অঞ্জলী
    কারিকাও বলে থাকেন।প্রাচীনকাল থেকেই লজ্জাবতী গাছটি আমাদের মানব শরীরের জন্য
    অনেক উপকারী। আমারা যারা ডায়রিয়া বা আমাশয় রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকি তাদের
    জন্য এই গাছটি খুবই কার্যকরী।
  
  
    এই গাছের শেকড় বেটে গুঁড়ো করে ডায়রিয়ার জন্য খাওয়া হয়ে থাকে। এর পাতা
    শরীরের ঘা নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এই গাছের ফুল ও পাতা বেটে শরীরের
    ক্ষত স্থানে ব্যবহার করা হয়। বাত, জ্বর ও হাড়ের ব্যথা হলে এই গাছ বেটে সেই
    স্থানে লাগালে দ্রুতই ব্যথা নিরাময় হয়।
  
  
    এছাড়াও আমাশয় দূর করতেও এই গাছটির মিশ্রণ খুবই উপকারী। আয়ূর্বেদিক শাস্ত্রে
    লজ্জাবতীর আরোও অনেক ঔষধি গুণাবলী রয়েছে, যেমন: কফ দূর করতে এবং নাক ও কানের
    রক্ত পড়া দূর করতে, আমাশয়, ডায়রিয়া, শরীরের মধ্যে যেকোনো ধরণের ক্ষত এবং
    আলসার সহ পআরও অনেক রোগ নিরাময়ে লজ্জাবতী গাছের রস খুবই উপকারী।
  
  
    এই ধরনের সকল সমস্যার সমাধান পেতে ৫মিলিগ্রাম করে লজ্জাবতী গাছের পাতার রস বা
    পেস্ট সেবন করতে পারেন। এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে লজ্জাবতী গাছের পাতা
    এবং শিকড়ের পেস্ট ত্বকে লাগাতে পারেন।
  
  
      আরো পড়ুনঃ
      ভিটামিন সিরাপ কোনটা ভাল জেনে নিন
    
  
    ২. থানকুনি পাতার গাছ
  
  
    থানকুনি গাছ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ঔষধি গাছ। এই গাছের পাতার রস
    খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এই গাছ সাধারণত আদ্র বা নরম
    মাটিতে বেশি দেখা যায়। এই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে - Centella Asisatica।
  
  
    থানকুনি গাছের পাতা, কান্ড এবং শিকড় সব গুলোই আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
    এই গাছ আমাদের মস্তিষ্কের কোষ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য
    ভালো রাখে। শীতকালে মুখে ঘা এবং গলা ব্যথা হলে এই থানকুনি পাতা পানিতে জ্বাল
    করে সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের ঘা এবং গলা ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
  
  
    এছাড়াও থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে আমাশয় রোগ নিরাময় হয়ে যায়। যদি কথা
    বলায় জড়তা থাকে তাহলে এটি নিয়মিত খেলে কথা আটকে যাওয়ার সমস্যা অনেকটাই
    স্বাভাবিক হয়ে যায়। তাছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে
    থানকুনি গাছের পাতা খুবই উপকারী।
  
  
    ৩. রিফিউজি লতা
  
  
    রিফিউজি লতা একটি ঔষধি গুণ সম্পূর্ণ গাছ। এই গাছের রয়েছে অনেক ধরনের রোগ
    প্রতিরোধ ক্ষমতা। এই গাছ সাধারণত বনজঙ্গল এবং যেখানে ঘন ঘন গাছপালা রয়েছে সেই
    সকল স্থানে বেশি দেখা যায়। শরীরের কোনো জায়গায় যদি কোনো ক্ষত দেখা যায় বা
    রক্তপাত দেখা দেয়।
  
  
    তাহলে সেই স্থানে এই গাছের পাতা বেটে অথবা পাতার রস সেই ক্ষত স্থানে লাগালে
    দ্রুত রক্তপাত বন্ধ হয়। এছাড়াও শরীরের মধ্যে নানা ধরণের খোস পাঁচড়া, দায়ুত,
    চুলকানি ও অ্যাকজিমায় খুবই উপকারী। পেটে ব্যাথা হলে এই গাছের শিকড় এবং পাতার
    রস খেলে ব্যথা নিরাময় হয়।
  
  
    ম্যালেরিয়া জ্বর প্রতিরোধে খুবই উপকারী। এছাড়াও বিভিন্ন পোকার কামড় খেলে এই
    গাছের শিকড় বা পাতার রস সেটা দ্রুত নিরাময় করে।
  
  
    ৪.অর্জুন গাছ
  
  
    অর্জুন গাছ ঔষধি গুণ সম্পূর্ণ গাছ এবং শরীরে রোগ নিরাময়ে খুবই উপকারী। এই গাছ
    হৃদরোগের ব্যাথা কমাতে খুবই কার্যকরী। এছাড়াও শারিরীক অক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুব
    ভালো কাজ করে। এছাড়াও এই গাছের পাতার রস বা পেস্ট মচকে যাওয়া কিংবা হাড়ের
    ব্যাথা কমাতে খুবই কার্যকরী। এই গাছের অনেক ঔষধি উপকারিতা রয়েছে।
  
  
    ৫. তুলসী পাতা
  
  
    তুলসী পাতা খেলে অনেক জটিল ও কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। শুধু তাই নয়
    তুলসী পাতা রূপচর্চায়ও ব্যবহার হয়। তুলসী পাতা খেলে কিডনির স্বাস্থ্য ভালো
    থাকে। এছাড়াও তুলসী পাতার রস নিয়মিত খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক
    কম থাকে।
  
  
    কিডিনিতে পাথর হলে টানা ৬ মাস তুলসী পাতার রস খেলে কিডনি থেকে পাথর ভালো হয়ে
    যায়। তুলসী পাতা রক্তের শর্করার মাত্রা সঠিক রাখে এবং কোলেস্টরল এর মাত্রা
    নিয়ন্ত্রণ করে। এটি শরীরে রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টরল এর মাত্রা কমাতে সাহায্য
    করে। তুলসী পাতা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
  
  
    নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে ক্যান্সার এর মত জটিল রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
    তুলসী পাতায় রয়েছে রেডিওপ্রোটেকটিভ উপাদান যা টিউমারের কোষ গুলো মেরে ফেলে
    এবং ক্ষতিকর কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে। এতে রয়েছে আরও অনেক প্রকারের
    সাইটোকেমিক্যাল এর প্রতিটি উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে।
  
  
    তাছাড়াও ব্রেস্ট ক্যান্সারও দূরে রাখে এই তুলসী পাতা। সর্দি কাশি যাদের ভালো
    হতে অনেক বেশি সময় লাগে তারা মধু দিয়ে তুলসী পাতার রস নিয়মিত খেলে দ্রুতই
    সর্দি কাশি ভালো হয়ে যায়। এছাড়াও জ্বর এবং ঠাণ্ডা জনিত নানা ধরনের সমস্যায়
    তুলসী পাতা খুবই কার্যকারী।
  
  
    ৬. বিলিম্বি
  
  
    ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ ফল বিলিম্বি। এই ফল দেখতে অনেকটা লেবুর মতো। বিশেষ করে এই ফল
    ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল। এই ফলটির স্বাদ অনেকটাই কামরাঙ্গা ফলের মতো। এই
    ফলটি খেলে ঠান্ডাজনিত রোগ নিরাময়ে খুবই উপকারী। এছাড়াও ডায়াবেটিস এবং উচ্চ
    রক্তচাপ কমাতেও এটি খুবই উপকারী।
  
  
    বিষধর কোনো প্রাণীর কামড় এবং বাতের ব্যথার ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় বিলিম্বি
    গাছের পাতার পেস্ট। বিলিম্বি তে বিশেষ করে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং
    সামান্য পরিমাণ সকল ধরনের মিনারেল উপাদান থাকে। গবেষণায় উঠে এসেছে বিলিম্বিতে
    বিটা ক্যারোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, অ্যাসকরবিক এসিড এবং নিয়াসিন পাওয়া
    যায়।
  
  
    এছাড়াও ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস আয়রনের মত খনিজ উপাদান মেলে এই
    বিলিম্বিতে। এমনকি ফ্ল্যাভিনয়েড ও ফাইবারের মত উপাদান গুলো রয়েছে। বিলিম্বি
    জন্ডিস এবং চর্মরোগের জন্যও বেশ উপকারী একটি ফল।
  
  
    ৭. স্বর্ণলতা
  
  
    স্বর্ণলতা হচ্ছে একটি পরজীবী উদ্ভিদ, যা অন্য উদ্ভিদের ওপর জন্মে। এই উদ্ভিদটি
    হোস্ট্রেলিয়াম নামক চোষক অঙ্গের মাধ্যমে পোষক উদ্ভিদ থেকে খাদ্য গ্রহণ করে।
    যার ফলে পোষক উদ্ভিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমনকি মারাও যেতে পারে। এই উদ্ভিদটির
    অনেক ঔষধি গুণাগুণ ও উপকারিতা রয়েছে। স্বর্ণলতার বীজের গুড়া কৃমিনাশক ঔষধ
    হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
  
  
    মুখে ঘা হলে স্বর্ণলতা গরম পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের
    ঘা খুব দ্রুত নিরাময় হয়। জন্ডিস রোগের চিকিৎসায় স্বর্ণলতা বেটে পেস্ট করে
    নিয়মিত খেলে জন্ডিস ভালো হয়ে যায়। এছাড়াও স্বর্ণলতা আগেকার দিনে
    জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করত। তাই গর্ভাবস্থায় কখনো এটি সেবন করবেন না।
  
  
    ৮. ধৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা
  
  
    ধৃতকুমারীর খুব চমৎকার ঔষধি গুন হয়েছে। ধৃতকুমারী বা এলোভেরা আমাদের শরীরের
    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটা রক্তে থাকা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে, এটা চর্বি
    গলাতে সহায়তা করে। এছাড়াও এলোভেরা পরিপাকতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। এটা
    সেবনে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, যার কারণে পেটে গ্যাসও কম
    হয়।
  
  
    এছাড়াও ঘৃতকুমারীর বা অ্যালোভেরার জেল যদি বের করে ত্বকে লাগলে ত্বকের
    উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকের নানা ধরণের সমস্যা দূর হয়। ধৃতকুমারী বা
    অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নানারকম
    ভিটামিন।
  
  
    ওজন কমাতে ঘৃতকুমারী খুবই কার্যকরী। শরীরের কোনো জায়গায় ব্যাথা থাকলে
    ধৃতকুমারীর জেল বা স্বাস গরম করে লাগালে দ্রুতই ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া
    যায়। শরীরের ক্ষতিকর জীবাণু অপসারণ করতে এলোভেরা খুব ভালো কাজ করে।
  
  
    কাশি এবং সর্দি থাকলে এটি খেলে দ্রুতই রোগ নিরাময় করে। এটি খাওয়ার নিয়ম
    হচ্ছে ২ চামচ অ্যালোভেরা জেল সাথে মধু বা চিনি, পানি এবং ইসুবগুলের ভুষি
    মিশিয়ে খেতে পারেন। সকালে এবং বিকালে দিনে দুইবার খেলে খুব ভালো উপকারিতা
    রয়েছে।
  
  
    ৯. পাথরকুচি
  
  
  
    ভেষজ চিকিৎসার জন্য পাথরকুচি গাছের পাতা ও রস অন্যতম উপকারি। পাথরকুচি পাতা
    কিডনি রোগ সহ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। পাথরকুচি পাতা বা রস খেলে
    কিডনির পাথর এবং গলগন্ড পাথর অপসারণ করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
  
  
    পেটে ফেঁপে থাকলে একটু চিনির সাথে ২ চামচ পাথরকুচির রস গরম করে খেলে পেট ফাঁপা
    কমে যাবে সর্দি জনিত কারণে শরীরে ফোড়া দেখা দিলে পাথরকুচি পাতার রস নিয়মিত
    খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
  
  
    এছাড়াও পাথরকুচি পাতার মধ্যে থাকা পানি শরীরের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।
    ব্রণ ও ফুসকুড়ি জাতীয় সমস্যার জন্য পাথরকুচি পাতা খুবই উপকারী। পাইলস বা অশ্ব
    রোগের জন্য পাথরকুচি পাতা খুবই কার্যকরী। বিষাক্ত পোকামাকড় কামড়ালে এই পাতার
    রস লাগালে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
  
  
    ১০. আকন্দ
  
  
  
    আকন্দ গাছ হচ্ছে অতি পরিচিতি ঔষধি গুণাগুণ সর্ম্পূণ গাছ। আকন্দ গাছের অনেক
    উপকারিতা রয়েছে। আকন্দ ব্যথা নাশক এবং চুলের জন্য খুবই উপকারী। দাঁতে ব্যথা
    থাকলে আকন্দ গাছের কষ তুলা দিয়ে ভিজিয়ে ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
    বাতের ব্যথা দুর দূর করার জন্য আকন্দ খুবই উপকারী।
  
  
    হজম শক্তি বৃদ্ধি এবং পরিপাকতন্ত্র স্বাভাবিক রাখতে আকন্দ খুবই উপকারী। এছাড়াও
    হাঁপানি এবং অম্ল রোগের চিকিৎসায় এটি খুবই উপকারী। বুকে সর্দি বসে গেলে আকন্দ
    গাছের পাতায় সরিষার তেল লাগিয়ে আগুনে হালকা শেক দিলে দ্রুত নিরাময় হয়।
    এছাড়াও শরীরের নানা ধরণের ব্যথার জন্য আকন্দ পাতার উপকারিতা রয়েছে।
  
  ভেষজ উদ্ভিদের নাম ও উপকারিতা
    ১. ধুতরা
  
  
    ধুতরা গাছের রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। এটি মূলত যাদের শ্বাসকষ্ট অর্থাৎ এজমা
    সমস্যা প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী। এটি শারিরীক শক্তি বৃদ্ধি করে। শ্বাসকষ্ট
    প্রতিরোধ করে। এছাড়াও আমাদের শরীরে নানা ধরণের রোগ বা শারীরিক সমস্যা থেকে
    মুক্তি দেয়।
  
  
    ২. রোজমেরি
  
  
    রোজমেরি গাছের পাতার রস খেলে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়। ডিপ্রেশন বা মানসিক চাপ
    প্রতিরোধ করে। রক্ত সংবহন এবং রক্তনালী প্রশমনে অনেক কার্যকারী। এছাড়াও ত্বকের
    নানা ধরণের সমস্যা, যেমন: ব্রণ সমস্যা প্রতিরোধ করে।
  
  
    ৩. দূর্বা ঘাস
  
  
    দূর্বা ঘাস শরীরে বিভিন্ন ক্ষত, যেমন: হাত পা কেটে গেলে এবং রক্ত বের হলে সেই
    রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে দ্রুত সহায়তা করে। এটি ব্যবহারের নিয়ম হচ্ছে দূর্বা ঘাস
    বেটে তারপর সেই স্থানে লাগাতে হয়। এছাড়াও শরীরে চর্মরোগ প্রতিরোধে একটি খুবই
    কার্যকরী উপকারিতা রয়েছে। এছাড়াও রূপচর্চায়ও দূর্বা ঘাস ব্যবহৃত হয়।
  
  
    ৪. জবা
  
  
    জবা ফুলের ঔষধি গুণাগুণ হচ্ছে এটি আমাদের পেটের সমস্যা, যেমন: পেট খারাপ এবং
    জন্ডিস নিরাময়ে সাহায্য করে। এছাড়াও। নারীদের রজঃ চক্রের সমস্যা দূর করে এবং
    স্রাব জনিত সমস্যায় খুবই কার্যকরী।
  
  
    ৫. বাসক
  
  
    বাসক গাছের পাতা শরীরে ঠান্ডা লাগার কারণে সর্দি কাশি এবং জ্বর প্রতিরোধে খুবই
    উপকারী। ফুসফুসের সমস্যা প্রতিরোধে অনেক উপকারিতা রয়েছে। এছাড়াও বাসক পাতার
    রস নিয়মিত খেলে শ্বাসনালীর সমস্যাও অনেকটা দূর হয়ে যায়।
  
  
    ৬. কালোকেশী
  
  
    কালোকেশীর অন্যতম একটি প্রধান ভেষজ গুন হচ্ছে চুল পড়া রোধে এটির অনেক উপকারিতা
    রয়েছে। এছাড়াও নারীদের মাসিকের সমস্যা প্রতিরোধ করতে কলোকেশী বেশ উপকারী।
  
  
    ৭. তকমা
  
  
    তকমা খেলে শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। পেট ফাঁপা দূর হয় এবং পেট পরিষ্কার
    থাকে। এছাড়াও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে তকমা অনেক উপকারিতা রয়েছে।
  
  
    ৮. চিরতা
  
  
    চিরতার রস খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকে। ডায়রিয়া রোগ প্রতিরোধ করতে
    সাহায্য করে। এছাড়াও জ্বর এবং বাতজ্বর নিরাময়ে এটির উপকারিতা রয়েছে। পেট
    খারাপ প্রতিরোধে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে চিরতা অনেক উপকারী।
  
  
    ৯. নিম
  
  
    নিমের পাতা, শিকড় বা ছালের রস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। নিমের রস নিয়মিত খেলে
    ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং যাদের ডায়াবেটিস নেই তাদের
    ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও চিকেন পক্স এবং চামড়ার এলার্জির মতো
    সমস্যা দূর করতে নিম পাতার পেস্ট খুবই উপকারী।
  
  
    দাঁতের ব্যথা দূর করতে এটি অনেক ভালো কাজ করে। পোকামাকড়ের কামড় থেকে ক্ষত হলে
    সেই স্থানে নিমের পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে নিয়ে সেই ক্ষত স্থানে লাগালে ক্ষতটি
    দ্রুত ভালো হয়।
  
  
    ১০. বনধনে
  
  
    বনধনে খেলে পেটের ব্যথা অনেকটাই কমে যায়। এছাড়াও শরীরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন
    ধরনের ঘা প্রতিরোধে বনধনের উপকারিতা রয়েছে।
  
  ঔষধি গাছের নামের তালিকা pdf
ঔষধি গাছের নাম ও ছবি pdf তালিকা আপনারা অনেকেই জানতে চান। নিচে ৩৬টি ঔষধি গাছের নামের তালিকা pdf নিচে দেওয়া হলো।| ক্রমিক নং | ঔষধি গাছের নামের তালিকা | 
|---|---|
| ১. | স্বর্ণলতা | 
| ২. | শতমূলী | 
| ৩. | থানকুনি | 
| ৪. | ধুতরা | 
| ৫. | দূর্বা ঘাস | 
| ৬. | লজ্জাবতী | 
| ৭. | জবা | 
| ৮. | রিফিউজি লতা | 
| ৯. | অর্জুন | 
| ১০. | বাসক | 
| ১১. | তুলসী | 
| ১২. | বিলম্ব | 
| ১৩. | কালোকেশী | 
| ১৪. | তকমা | 
| ১৫. | পাথরকুচি | 
| ১৬. | চিরতা | 
| ১৭. | নিম | 
| ১৮. | বনজুঁই | 
| ১৯. | বনধনে | 
| ২০. | মেন্দা | 
| ২১. | সাজনা | 
| ২২. | রোজমেরি | 
| ২৩. | লেমন বাম | 
| ২৪. | চামোমিলে | 
| ২৫. | হলুদ | 
| ২৬. | আদা | 
| ২৭. | সেজ গাছ | 
| ২৮. | পেপারমিন্ট | 
| ২৯. | শিউলি | 
| ৩০. | আমলকি | 
| ৩১. | ধৃতকুমারী | 
| ৩২. | অশ্বগন্ধা | 
| ৩৩. | মেথি | 
| ৩৪. | শতভরি | 
| ৩৫. | সাদা মুসলি | 
| ৩৬. | পুদিনা | 
বাংলাদেশের ঔষধি গাছের তালিকা
    বাংলাদেশে গ্রাম অঞ্চলের মানুষের এখনো ঔষধি গাছ গুলো তাদের রোগের জন্য ব্যবহার
    করে থাকেন। এই ভেষজ গাছ গুলো সাধারণত ঘন জঙ্গলে হয়ে থাকে। এই ঔষধি প্রায় সকল
    গাছই আমাদের দেখে দেখতে পাওয়া যায়। উপরে বাংলাদেশের ঔষধি গাছের তালিকা দেওয়া
    হয়েছে দেখে নিন।
  
  
  দুটি ঔষধি গাছের নাম
    দুটি ঔষধি গাছের নাম হচ্ছে - ১. শতমূলী ও ২. পেপারমিন্ট।
  
  
    ১. শতমূলী
  
  - নারীদের বন্ধ্যাত্ব নিরাময়ে উপকার করে।
- শরীরের শক্তিবর্ধক হিসেবে উপকার করে।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
    ২. পেপারমিন্ট
  
  - এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
- শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত রোগীদের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।
- শরীরের সকল ধরণের এলার্জি কমতে সাহায্য করে।
শেষ কথাঃ 10 টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা
  ভেষজ উদ্ভিদের নাম ও উপকারিতা গুলো সর্ম্পকে জ্ঞান থাকলে আপনি ঘরে থেকেই ভেষজ
  চিকিৎসা নিতে পারবেন। ঔষধি গাছ গুলো আমাদের রোগ গুলো প্রাকৃতিক ভাবে নিরাময় হতে
  সাহায্য করে। এই ঔষধি গাছ গুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এই সকল ভেষজ
  উদ্ভিদের গুণাগুণ বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে।

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url