মেয়েদের সোনা কোথায় থাকে জেনে নিন
মেয়েদের সোনা কোথায় থাকে জানতে চান? বেশির ভাগ মানুষের কৌতূহল থাকে মেয়েদের
সোনা সম্পর্কে জানার। আজকের পোস্টে আপনি জানতে পারবেন মেয়েদের সোনা কয় ধরনের
হয়ে থাকে এবং
মেয়েদের সোনা কালো হয় কেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। তবে এই
বিষয় গুলো শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে আলোচনা করা হয়েছে। তবে চলুন জেনে
নেওয়া যাক মেয়েদের সোনা কোথায় থাকে এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
আরো পড়ুনঃ
মেয়েদের কিভাবে করতে হয় ১০টি গোপন টিপস
সূচিপত্রঃ মেয়েদের সোনা কোথায় থাকে
- মেয়েদের সোনা কোথায় থাকে
- মেয়েদের সোনা কয় ধরনের
- মেয়েদের সোনা কি রকম হয়
- মেয়েদের সোনা কালো হয় কেন
- মেয়েদের সোনা কত বড় হতে পারে
- শেষ কথাঃ মেয়েদের সোনা কোথায় থাকে
মেয়েদের সোনা কোথায় থাকে
মেয়েদের সোনা কোথায় থাকে এটা অনেকেই জানতে চান। মেয়েদের সোনা বিভিন্ন
অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিশেষ করে মেয়েদের সোনা বলতে মেয়েদের গোপনাঙ্গকে
বুঝায়। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় এই শব্দটি বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
অর্থাৎ শরীরের সেই ব্যক্তিগত জায়গা যেটা খুব সংরক্ষিত ও গোপন, যা সাধারণত
কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকে।
এটা খুবই ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল অঙ্গ। মেয়েদের সোনা
অর্থাৎ প্রজনন অঙ্গগুলি শরীরের নিম্নাঙ্গে, দুই পায়ের মাঝখানে অবস্থিত।
এগুলির মধ্যে বাহ্যিক অংশগুলি যেমন ভালভা (যার মধ্যে ভগাঙ্কুর ও যোনিছিদ্র
থাকে) এবং অভ্যন্তরীণ অংশগুলি যেমন যোনিপথ, জরায়ু, ডিম্বাশয় ইত্যাদি
অন্তর্ভুক্ত।
আরো পড়ুনঃ
মেয়েরা কিভাবে গিটার মারে
মেয়েদের সোনা কয় ধরনের
মেয়েদের সোনা কয় ধরনের এটা অনেকেই জানতে চান। মেয়েদের সোনা অর্থাৎ
গোপনাঙ্গ বা যৌনাঙ্গ সাধারণত দুই ধরনের। যথাঃ
১. বাহ্যিক যৌনাঙ্গ (External genitalia – Vulva)
- ল্যাবিয়া মেজোরা (Labia majora)
- ল্যাবিয়া মিনোরা (Labia minora)
- ক্লিটোরিস (Clitoris)
- যোনিদ্বার (Vaginal opening)
- মূত্রনালী মুখ (Urethral opening)
২. অভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গ (Internal genitalia)
- যোনি (Vagina)
- জরায়ু (Uterus)
- ডিম্বাশয় (Ovaries)
- ফলোপিয়ান টিউব (Fallopian tubes)
সহজভাবে বললে, মেয়েদের সোনা বা যৌনাঙ্গ দুই ধরনের বাহ্যিক যা বাইরে থেকে
দেখা যায় এবং অভ্যন্তরীণ যা শরীরের ভেতরে থাকে।
আরো পড়ুনঃ
কোন মেয়েদের করতে ভালো লাগে
মেয়েদের সোনা কি রকম হয়
মেয়েদের সোনা কি রকম হয় এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মেয়েদের শরীরের
অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। মেয়েদের সোনা অর্থাৎ গোপনাঙ্গ বা যৌনাঙ্গ কারও
ছোট-বড়, রঙে হালকা-গাঢ়, বা গঠনে কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে। তবে মেয়েদের
সোনা বা গোপনাঙ্গ দেখতে সবার এক রকম নয়। নিচে মেয়েদের সোনা বা গোপনাঙ্গ কি
রকম হয় সেটা শিক্ষামূলক ভাবে বর্ণনা করা হলোঃ
বাহ্যিক অংশ অর্থাৎ বাইরে থেকে যা দেখা যায়ঃ
- ল্যাবিয়া মেজোরা এটার বাইরের দিকের দুই পাশে চামড়ার ভাঁজ, ঠোঁটের মতো দেখায়।
- ল্যাবিয়া মিনোরা এটা ভেতরের দিকের ছোট ভাঁজ, কারও ছোট থাকে, কারও একটু লম্বা বা ঝুলে থাকতে পারে।
- ক্লিটোরিস এটা দেখতে ছোট গোলাকার স্পর্শকাতর অংশ, ল্যাবিয়ার উপরের দিকে থাকে।
- যোনিদ্বার এটা হচ্ছে মাঝের অংশ, এখান দিয়ে মাসিক রক্ত বের হয় এবং যৌনমিলন হয়।
- মূত্রনালী মুখ এটা যোনিদ্বারের ঠিক উপরে এখান দিয়ে প্রস্রাব বের হয়।
অভ্যন্তরীণ অংশ বা ভেতরে থাকেঃ
- যোনি এটা একটি নমনীয় নালী, ভেতরে জরায়ুর সঙ্গে যুক্ত।
- জরায়ু গর্ভধারণের জায়গা।
- ডিম্বাশয় যেখানে ডিম্বাণু তৈরি হয়।
- ফলোপিয়ান টিউব এটা ডিম্বাণু জরায়ুতে নিয়ে যায়।
মেয়েদের সোনা কালো হয় কেন
মেয়েদের সোনা কালো হয় কেন এটা অনেকের কাছেই অজানা। মেয়েদের সোনা কালো
হয় কেন এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেয়েদের সোনা বা গোপনাঙ্গ অনেক সময়
শরীরের অন্য অংশের তুলনায় গাঢ় বা কালচে হয়ে থাকে। তাই সাধারণত কালো দেখায়।
তবে এতে কোনো সমস্যা হয় না এটি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। এছাড়াও হরমোনের
প্রভাব, ঘর্ষণ, বংশগত এবং বয়স জনিত কারণে মেয়েদের সোনা কালো হয়ে থাকে। নিচে
বিশেষ কিছু কারণ উল্লেখ করা হলোঃ
- বয়ঃসন্ধি থেকে শুরু করে গর্ভধারণ পর্যন্ত নানা হরমোন কাজ করে। এগুলোর কারণে যৌনাঙ্গের আশেপাশে মেলানিন চামড়ার রঙের উপাদান বেশি জমে, ফলে রঙ গাঢ় হয়।
- নিয়মিত হাঁটা, বসা, টাইট কাপড় পরা বা যৌনসম্পর্কের কারণে ঐ জায়গায় ঘর্ষণ হয়, এতে রঙ কিছুটা গাঢ় হতে পারে।
- পরিবারিক কারণে স্বাভাবিকভাবেই গোপনাঙ্গের রঙ অন্যদের তুলনায় বেশি গাঢ় হয়।
- এছাড়াও বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের অনেক অংশের মতোই গোপনাঙ্গও কালচে হয়ে যেতে পারে।
তাই এটা শরীরের কোনো রোগ নয় বরং শরীরের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য।
আরো পড়ুনঃ
কিভাবে কিস করলে মেয়েরা খুশি হয়
মেয়েদের সোনা কত বড় হতে পারে
মেয়েদের সোনা কত বড় হতে পারে এটা অনেকেই জানতে চান। মেয়েদের সোনা অর্থাৎ
গোপনাঙ্গের আকার কত বড় হতে পারে এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেয়েদের
গোপনাঙ্গ সাধারণত ৭–১০ সেমি লম্বা হয়, কিন্তু পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রসারিত
হতে পারে।
- যোনি সাধারণত ৭–১০ সেমি লম্বা, তবে যৌনমিলন বা প্রসবের সময় আরও বড় হয়।
- জরায়ু প্রায় ৭–৮ সেমি লম্বা, ৪–৫ সেমি চওড়া হতে পারে।
- ডিম্বাশয় প্রতিটি ৩–৫ সেমি আকারের হয়ে থাকে।
- বাহ্যিক অংশ (Labia/ঠোঁট) কারও ছোট আবার কারও বড় সবই স্বাভাবিক।
আরো পড়ুনঃ
অনিয়মিত মাসিক হলে ওভুলেশন কখন হয়
শেষ কথাঃ মেয়েদের সোনা কোথায় থাকে
পরিশেষে বলা যায় যে মেয়েদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্ট হচ্ছে এই অংশটি।
তাই বলা মেয়েদের এই অঙ্গটি স্বাভাবিক ভাবেই তলপেটের ঠিক নিচেই থাকে। বাচ্চা প্রসব
এবং প্রজনন প্রক্রিয়ায় এটি বিশেষভাবে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url