বাচ্চা না হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হয় - বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
বাচ্চা না হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হয় আর বাচ্চা না হওয়ার কারণ সম্পর্কে আপনারা
অনেকেই জানেন না। বাচ্চা না হওয়ার পিছনে অনেকগুলো কারণ থাকে। আর এই কারণ গুলো
খুঁজে বের করার জন্য একজন ভালো ডাক্তার দেখানো খুবই জরুরি।
এর ফলে আপনি জানতে
পারবেন বাচ্চা না হলে কি কি টেস্ট করতে হয় এবং গর্ভধারণ না হওয়ার কারণ। তবে চলুন
জেনে নেওয়া যাক বাচ্চা না হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হয় এবং বাচ্চা না হওয়ার
কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
সূচিপত্রঃ বাচ্চা না হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হয়
- বাচ্চা না হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হয়
- বাচ্চা না হওয়ার কারণ
- বাচ্চা না হলে কি করতে হবে
- বাচ্চা না হলে কি কি টেস্ট করতে হয়
- বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
- বাচ্চা হওয়ার চিকিৎসা
- সন্তান না হওয়ার কারণ
- বাচ্চা কনসিভ না হওয়ার কারণ
- গর্ভধারণ না হওয়ার কারণ
- শেষ কথাঃ বাচ্চা না হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হয়
বাচ্চা না হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হয়
বাচ্চা না হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হয় এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ
বাচ্চা না হলে বা গর্ভধারণে কোনো সমস্যা হলে শুরুতেই একজন ভালো
গাইনোকোলজিস্ট (Gynecologist) বা রিপ্রোডাক্টিভ এন্ডোক্রিনোলজিস্ট
(Reproductive Endocrinologist) বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হয়। এছাড়া দম্পতি
উভয়েরই পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন হলে ইনফার্টিলিটি স্পেশালিস্ট বা
ইউরোলজিস্ট পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখাতে হবে।
১. প্রজনন বিশেষজ্ঞ (Reproductive Specialist)
- যদি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গর্ভধারণের চেষ্টা করছেন এবং গর্ভধারণ হচ্ছে না, তাহলে একজন প্রজনন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আপনার যদি বয়স ৩৫ বছরের বেশি হয় তাহলে ছয় মাস চেষ্টা করার পরই ডাক্তার দেখানো উচিত।
২. বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ (Fertility Specialist)
- এই বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বন্ধ্যাত্বের কারণ নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন। এছাড়াও ডাক্তার আপনার সঙ্গীর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য বিশ্লেষণ করে সঠিক চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করবেন।
৩. গাইনোকোলজিস্ট (Gynecologist)
- আপনার মাসিক বা পিরিয়ড সমস্যা এবং অন্যান্য প্রজনন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে গাইনোকোলজিস্ট ডাক্তার দেখাতে হবে।
কি কি পরীক্ষা বা চিকিৎসা হতে পারে?
মহিলাদের জন্যঃ
- হরমোন টেস্ট (FSH, LH, প্রোজেস্টেরন, ইস্ট্রোজেন ইত্যাদি)
- আল্ট্রাসাউন্ড (ডিম্বাশয় ও জরায়ু পরীক্ষা)
- HSG (জরায়ুর ব্লকেজ চেক করা)
- ওভুলেশন মনিটরিং
পুরুষদের জন্যঃ
- স্পার্ম টেস্ট (সিমেন অ্যানালাইসিস)
- হরমোন টেস্ট (টেস্টোস্টেরন, প্রোল্যাকটিন ইত্যাদি)
বিবাহিত দম্পতির জন্যঃ
- জেনেটিক টেস্টিং (যদি প্রয়োজন হয়)
- লাইফস্টাইল ও ডায়েট পর্যালোচনা
পরামর্শঃ
দম্পতি উভয়কেই একসঙ্গে পরীক্ষা করানো উচিত, কারণ প্রায় ৪০-৫০% ক্ষেত্রে
পুরুষদের স্পার্মের সমস্যা বা অন্যান্য কারণেও বাচ্চা না হতে পারে। বয়স ৩৫+
হলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন, কারণ ফার্টিলিটি বয়সের সাথে কমে।
বাচ্চা না হওয়ার কারণ
বাচ্চা না হওয়ার কারণ পুরুষ, মহিলা বা উভয়েরই বিভিন্ন শারীরিক, হরমোনাল
বা লাইফস্টাইল-সম্পর্কিত কারণ থাকতে পারে। নিচে বাচ্চা না হওয়ার কারণ গুলো
দেওয়া হলোঃ
মহিলাদের ক্ষেত্রেঃ
- অনিয়মিত ঋতুস্রাব বা ওভুলেশন সমস্যা
- PCOS (পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম), থাইরয়েড সমস্যা, হাইপারপ্রোল্যাক্টিনেমিয়া।
- অকাল মেনোপজ (Premature Ovarian Failure)।
- জরায়ু বা ফ্যালোপিয়ান টিউবের সমস্যা
- টিউব ব্লকেজ (ইনফেকশন, এন্ডোমেট্রিওসিস বা আগের অপারেশনের কারণে)।
- জরায়ুর ফাইব্রয়েড, পলিপ বা জন্মগত ত্রুটি।
- জরায়ুর টিস্যু বাইরে বৃদ্ধি পেলে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।
- ৩৫ বছরের পর ডিম্বাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান কমে যায়।
পুরুষদের ক্ষেত্রেঃ
- কম স্পার্ম কাউন্ট (Oligospermia), স্পার্ম না থাকা (Azoospermia)।
- স্পার্মের গতি কম (Poor motility) বা আকৃতি অস্বাভাবিক (Morphology)।
- টেস্টোস্টেরন কম, থাইরয়েড বা প্রোল্যাকটিন হরমোনের অসামঞ্জস্য।
- ভেরিকোসেল (Varicocele), বীর্য নালিতে ব্লকেজ।
- ইজাকুলেশন সমস্যা (Retrograde Ejaculation)।
- ধূমপান, অ্যালকোহল, মাদক, স্থূলতা বা স্ট্রেস।
কমন সমস্যাঃ
- জেনেটিক বা ক্রোমোজোমাল অস্বাভাবিকতা (যেমন: ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম, টার্নার সিনড্রোম)।
- অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস বা অটোইমিউন ডিজিজ (যেমন: Lupus)।
- যৌন সংক্রান্ত সমস্যা (যেমন: ED, কম ফ্রিকোয়েন্সি)।
বাচ্চা না হলে কি করতে হবে
বাচ্চা না হলে প্রজনন বিশেষজ্ঞ (Reproductive Specialist), বন্ধ্যাত্ব
বিশেষজ্ঞ (Fertility Specialist), গাইনোকোলজিস্ট (Gynecologist) এই তিন ধরণের
ডাক্তার দেখাতে হবে। আশা করা যায় সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে আসল রোগ ধরা পড়বে এবং
আপনারা গর্ভধারণ করতে পারবেন।
বাচ্চা না হলে কি কি টেস্ট করতে হয়
বাচ্চা না হলে কি কি টেস্ট করতে হয় এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চা না
হওয়ার কারণ নির্ণয়ের জন্য বিবাহিত দম্পতি উভয়কেই বিভিন্ন মেডিকেল টেস্ট
করতে হয়। নিচে বাচ্চা না হলে কি কি টেস্ট করতে হয় দেওয়া হলোঃ
মহিলাদের টেস্টঃ
- FSH (Follicle Stimulating Hormone) – ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা পরীক্ষা।
- LH (Luteinizing Hormone) – ওভুলেশন ট্র্যাক করতে।
- AMH (Anti-Müllerian Hormone) – ডিম্বাশয়ের রিজার্ভ বোঝার জন্য।
- থাইরয়েড (TSH, T3, T4) ও প্রোল্যাকটিন – হরমোনাল imbalance চেক করতে।
- ট্রান্সভ্যাজাইনাল আল্ট্রাসাউন্ড – ডিম্বাশয়, জরায়ু, ফলিকলের অবস্থা দেখতে।
- HSG (Hysterosalpingography) – জরায়ু ও ফ্যালোপিয়ান টিউব ব্লকেজ আছে কিনা।
- সোনোহিস্টেরোগ্রাম (SIS) – জরায়ুর ভিতরের সমস্যা (পলিপ, ফাইব্রয়েড) চেক করতে।
- ল্যাপারোস্কোপি – এন্ডোমেট্রিওসিস বা পেলভিক adhesions ডিটেক্ট করতে (যদি প্রয়োজন হয়)।
- জেনেটিক টেস্টিং – ক্রোমোজোমাল অস্বাভাবিকতা (যেমন: টার্নার সিনড্রোম)।
পুরুষদের টেস্ট
- স্পার্ম কাউন্ট, motility (গতি), morphology (আকৃতি) পরীক্ষা।
- Azoospermia (স্পার্ম না থাকা) বা Oligospermia (কম স্পার্ম) ডিটেক্ট করতে।
- টেস্টোস্টেরন, FSH, LH, প্রোল্যাকটিন – স্পার্ম উৎপাদন সম্পর্কিত হরমোন চেক।
- স্ক্রোটাল আল্ট্রাসাউন্ড – ভেরিকোসেল (Varicocele) বা টেস্টিকুলার সমস্যা চেক করতে।
- ট্রান্সরেক্টাল আল্ট্রাসাউন্ড (TRUS) – বীর্য নালিতে ব্লকেজ আছে কিনা দেখতে।
- Y-ক্রোমোজোম মাইক্রোডিলিশন – স্পার্ম উৎপাদনে জেনেটিক সমস্যা।
- ক্যারিওটাইপিং – ক্রোমোজোমাল অস্বাভাবিকতা (যেমন: ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম)।
দম্পতির জন্য সাধারণ টেস্ট:
- পোস্টকোইটাল টেস্ট (PCT) – স্পার্ম জরায়ুতে বেঁচে থাকতে পারছে কিনা দেখতে।
- ইনফেকশন স্ক্রিনিং – STD টেস্ট (যেমন: Chlamydia, Gonorrhea)।
টেস্ট রিপোর্টের পর গাইনোকোলজিস্ট বা ফার্টিলিটি স্পেশালিস্ট ডাক্তারের
সাথে পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরি।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় স্বপ্নে ডাব দেখলে কি হয়
বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক
সমস্যায় গাইনোকোলজিস্ট বা ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। কারণ বাচ্চা
না হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে যেটা অবশ্যই জানতে হবে। নিচে বাচ্চা না
হওয়ার কারণ ও প্রতিকার গুলো দেওয়া হলোঃ
বাচ্চা না হওয়ার কারণঃ
- পুরুষের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর সংখ্যা কম, গতিশীলতা কম বা শুক্রাণু না থাকা।
- নারীদের ক্ষেত্রে ডিম্বাশয়ের অসুখ (PCOS, এন্ডোমেট্রিওসিস), ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ থাকা বা হরমোনের imbalance।
- নারীদের ৩৫ বছর ও পুরুষদের ৪০ বছর বয়সের পর সন্তান ধারণের ক্ষমতা কমে যায়।
- ধূমপান, মদ্যপান, স্থূলতা, স্ট্রেস ও অপুষ্টি জনিত সমস্যা।
- থাইরয়েড সমস্যা, ডায়াবেটিস বা জেনেটিক বা অন্যান্য কারণে।
বাচ্চা না হওয়ার প্রতিকারঃ
- ফার্টিলিটি টেস্ট করে কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা (আইভিএফ, আইইউআই, ওষুধ)।
- লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য, ব্যায়াম, ধূমপান-মদ্যপান ত্যাগ করা।
- নারীদের ডিম্বস্ফোটনের সময় সহবাস করা।
- স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং যোগব্যায়াম ও meditation করা।
- বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে বাচ্চা দত্তক নেওয়া বা সারোগেসি বিবেচনায় বাচ্চা নিতে পারবেন।
বাচ্চা হওয়ার চিকিৎসা
বাচ্চা হওয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান? আধুনিক চিকিৎসায় অনেক ধরণের
পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে খুব সহজেই সন্তান লাভ করা সম্ভব। প্রথমে রক্ত
পরীক্ষা, আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও অন্যান্য পরীক্ষার মাধ্যমে কারণ নির্ণয় করা
হয়।
নারীদের ক্ষেত্রে ডিম্বস্ফোটন না হলে ক্লোমিফেন বা লেট্রোজোল জাতীয় ওষুধ
দেওয়া হয়। পুরুষদের শুক্রাণুর গুণগত সমস্যা থাকলে হরমোন থেরাপি বা
সার্জারি করে ঠিক করে দেওয়া হয়। ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ থাকলে
ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি অনেক বেশি কার্যকারী।
এছাড়াও সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তির মধ্যে আইইউআই (IUI) ও আইভিএফ (IVF)
সবচেয়ে জনপ্রিয়। আইভিএফ এর মাধ্যমে ল্যাবে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু নিষিক্ত
করে জরায়ুতে স্থাপন করা হয়। এর মাধ্যমে গর্ভধারণ করা সম্ভব হয়।
জীবনযাত্রায় স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চললে প্রাকৃতিকভাবেও সন্তান ধারণের
সম্ভাবনা বাড়ে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে সঠিক পদ্ধতি বেছে নিলে বেশিরভাগ
ক্ষেত্রে সফলভাবে সন্তান লাভ করা সম্ভব।
সন্তান না হওয়ার কারণ
সন্তান না হওয়ার কারণ হচ্ছে নারী ও পুরুষ উভয়েরই শারীরিক সমস্যা দায়ী
হতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে ডিম্বস্ফোটন না হওয়া (PCOS, থাইরয়েড),
ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ থাকা, এন্ডোমেট্রিওসিস বা জরায়ুর গঠনগত সমস্যা
প্রধান কারণ। পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর সংখ্যা কম, গতিশীলতা না থাকা বা
শুক্রাণু উৎপাদনে বাধা প্রধান কারণ।
এছাড়াও বয়স বিশেষ করে ৩৫ বছরের পর, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, ধূমপান-মদ্যপান,
অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং বংশগত সমস্যাও সন্তান না হওয়ার কারণ হতে পারে।
সঠিক ডায়াগনোসিস ও চিকিৎসার মাধ্যমে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যা সমাধান
সম্ভব।
বাচ্চা কনসিভ না হওয়ার কারণ
বাচ্চা কনসিভ না হওয়ার কারণ হিসেবে নারী ও পুরুষ উভয়েরই বিভিন্ন শারীরিক
ও জীবনযাপনগত সমস্যা থাকতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত ডিম্বস্ফোটন,
PCOS, ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ থাকা, জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের সমস্যা প্রধান
কারণ।
পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর কম সংখ্যা, দুর্বল প্রজনন স্বাস্থ্য বা
নিষ্ক্রিয়তা উল্লেখযোগ্য। নারীদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত ডিম্বস্ফোটন, PCOS,
ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ থাকা, জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের সমস্যা প্রধান কারণ।
পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর কম সংখ্যা, দুর্বল গতিশীলতা বা নিষ্ক্রিয়তা
উল্লেখযোগ্য।
গর্ভধারণ না হওয়ার কারণ
গর্ভধারণ না হওয়ার কারণ হিসেবে নারী-পুরুষ উভয়েরই শারীরিক ও হরমোনাল
সমস্যা দায়ী হতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে ডিম্বস্ফোটন ব্যাধি (PCOS),
ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ থাকা, জরায়ুর অস্বাভাবিকতা প্রধান কারণ। পুরুষদের
ক্ষেত্রে শুক্রাণুর স্বল্পতা বা গুণগত সমস্যা উল্লেখযোগ্য। নারীদের বয়স ৩৫
বছরের বেশি হলে গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করে। এছাড়াও ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত
মানসিক চাপ গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি করে।
শেষ কথাঃ বাচ্চা না হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হয়
পরিশেষে বলা যায় যে, বাচ্চা না হওয়ার সমস্যায় প্রথমে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ
(Gynecologist) বা পুরুষ রোগ বিশেষজ্ঞ (Urologist) এর পরামর্শ নেওয়া উচিত।
প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রয়োজন হলে ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ (Infertility
Specialist) বা রিপ্রোডাক্টিভ এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের (Reproductive
Endocrinologist) শরণাপন্ন হতে হবে।
এক্ষেত্রে বিবাহিত দম্পতির দুই জনের চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। বাংলাদেশে বর্তমানে
অনেক হাসপাতাল ও ফার্টিলিটি সেন্টারে এ সংক্রান্ত আধুনিক চিকিৎসা সেবা পাওয়া
যায়। সময়মতো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিলে এবং সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করলে
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাচ্চা গর্ভধারণ করা সম্ভব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url